ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে গৃহবধূকে জোরপুর্বক ধর্ষণ

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে গৃহবধূকে জোরপুর্বক ধর্ষণ

রিয়াজ উদ্দীন (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার বাকচুয়া গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক গৃহবধূকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হরিণাকুন্ডু থাকায় একটি মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতা।
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে গৃহবধূকে জোরপুর্বক ধর্ষণমামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে বাকচুয়া গ্রামের নিজ বাড়ীর বাথরুমে গোসল করছিল নির্যাতিতা। এসময় প্রতিবেশী মোশাররফ হোসেন বাথরুমে ঢুকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে গৃহবধুকে। ধর্ষক মোশাররফ হোসেন বাকচুয়া গ্রামের মানোয়ার হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধু শুক্রবার রাতে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১। তারিখ-০২/০৩/২০১৮ ইং। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি কে এম শওকত হোসেন জানান, ধর্ষণের খবর পেয়ে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। মধ্যরাতে ধর্ষিতা বাদি হয়ে এজাহার জমা দিলে তা গ্রহণ করা হয়েছে।

শনিবার তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ধর্ষক মোশাররফ হোসেনকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে ওসি জানান। এদিকে হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক বিন্নি গ্রামের দশম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী গনধর্ষনের শিকার হলেও পুলিশ ৩৭ দিনেও চার ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি। গত ২৫ জানুয়ারী মধ্যরাতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে একই গ্রামের নবিছদ্দির ছেলে মিল্টন, ঝান্টুর ছেলে মিন্টু, আনিছুর রহমানের ছেলে সেলিম ও ইমরুলের ছেলে রাজন দশম শ্রেনীর ওই ছাত্রীকে পাক্রমে ধর্ষন করে। এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানায় মামলা হলেও ধর্ষকদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।  তবে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরদির্শক আসাদুজ্জামান জানান।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment